Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়
কৃষিবিদ ড. মো. হামিদুর রহমান
সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষের খাদ্য চাহিদা, চাহিদা পূরণের ভাবনা ও প্রচেষ্টা অন্য সব জীব থেকে আলাদা। মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদার শীর্ষে খাদ্যের অবস্থান। সময়, দেশ, জাতি, সংস্কৃতির প্রকারভেদে মানুষের খাদ্য দ্রব্যের ধরনে ভিন্নতা থাকলেও সুষম খাদ্যের অনিবার্য উপাদান বিচারে আধুনিক মানবসমাজ সর্বজনগ্রাহ্য এক ঐকমত্যে উপনীত হয়েছে। আর এ উপাদানগুলো হলো- শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি। শারীরিক গঠন (ওজন ও উচ্চতা) ও বয়সভেদে মানুষে মানুষে এসব উপাদানের চাহিদার তারতম্য থাকলেও মানুষের খাদ্য চিন্তা এসব উপাদানের দৈনিন্দিন প্রাপ্যতার নিশ্চয়তা বিষয়ে আবর্তিত। বর্ণিত উপাদানগুলোর আদি ও চিরন্তন উৎস্য হচ্ছে প্রকৃতিপ্রদত্ত উদ্ভিদ, প্রাণি ও পানি। মানুষ এই প্রাকৃতিক সম্পদকে নিজেদের প্রয়োজনমত আয়ত্ব করার যে ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে তার নাম ‘আধুনিক কৃষি’। কৃষি ব্যবস্থার প্রবর্তনের মধ্যদিয়ে মানবসমাজ সভ্যতার আলোয় আলোকিত হয়েছে। এ কারণে কৃষি চর্চা মানুষের আদি ও অনন্তের পেশা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। মানবসমাজ যতদিন ভূম-লে টিকে থাকবে সেই পর্যন্ত খাদ্যের জন্য তাদের কৃষি চর্চা করতে হবে। সে কারণে খাদ্য ও কৃষি একসূত্রে গাঁথা আর কৃষি চর্চা মানবসভ্যতার মহত্তম অর্জন।
‘খাদ্য নিরাপত্তা’ শব্দগুচ্ছ সাম্প্রতিক কালে বহুল উচ্চারিত ও আলোচিত। ‘নিরাপদ’ শব্দটি আপদ মুক্ত থাকার অভিপ্রায়জাত। ‘নিরাপত্তা’ বিষয়টি সাধারণত শারীরিকভাবে আক্রান্ত না হওয়া  বা বিপন্নতা মুক্ত থাকার উপায় হিসেবে বিবেচিত হতো। এই শব্দটি অধুনা মানবসভ্যতায় বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে খাদ্যের সাথে যুক্ত হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র ভাবনায় এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে এবং মানবকল্যাণ তথা বৈশি^ক উন্নয়ন ভাবনার শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে সহস্রাব্দের উন্নয়ন অভিলক্ষ্য (এমডিজি ২০০০-২০১৫) ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি ২০১৬-২০৩০) বাস্তবায়ন উদ্যোগের মাধ্যমে। এ দুটি অভিলক্ষ্যেই গুরুত্ব পেয়েছে ‘ক্ষুধার অবসান’। অর্থাৎ পৃথিবীর সকল মানুষ চিরকালের জন্য ক্ষুধামুক্ত হবে- সর্বকালের সকল মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। এই হচ্ছে আধুনিক মানুষের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ও কর্তব্য। খাদ্য নিরাপত্তার সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা রাষ্ট্রীয় পরিসরে সকল নাগরিক যেন সব সময়ের জন্য তাদের প্রাত্যহিক প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহণে অধিগম্যতা প্রাপ্ত হয়। এ ক্ষেত্রে খাদ্যের জোগান ব্যবস্থা অটুট থাকা ও নাগরিকদের বাজার থেকে তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খাদ্য কিনে খাওয়ার সামর্থ্য অর্জনই মূলকথা। খাদ্যের জোগান কেবল দেশজ উৎপাদন নির্ভর নয় অনেকাংশে বৈশি^ক বাজার ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। আর নাগরিকদের খাদ্য অধিগম্যতা তাদের নিজস্ব উৎপাদন কিংবা ক্রয় ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা এক ধরনের সামর্থ্য। এই অধিগম্যতার সাথে আরও দু’টি মানদ- নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত আর তা হলো- খাদ্যের পুষ্টিগুণ ও মানব শরীরের জন্য খাদ্য ক্ষতিকারক উপাদান মুক্ত কি না সে বিষয় নিশ্চিত হওয়া। এক কথায় রাষ্ট্রীয় পরিসরে খাদ্য নিরাপত্তা বলতে আমরা বুঝবো প্রত্যেক নাগরিকের জন্য প্রতিবেলার প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর ও শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয় এমন খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া। কাজেই খাদ্যের জোগানের পর্যাপ্ততা, পুষ্টিগুণ, নিরাপদ হওয়া ও সকল নাগরিকের অধিগম্যতা- এই চারটি মাত্রার সমন্বয়ই হল খাদ্য নিরাপত্তা। তারপরও কথা থাকে- রন্ধন প্রণালি, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবেশনের ক্ষেত্রেও খাদ্যের পুষ্টিমান, নিরাপদ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করাও খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের অপরিহার্য অঙ্গ।
বিশ^ পরিস্থিতি : বর্তমান বিশ^ পরিস্থিতি সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ দ্বারা প্রভাবিত, যার প্রধান দু’টি উপাদান হল চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির ভুবনজোড়া ভয়াবহতা এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। এর বাইরে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতও একটি নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত বিষয় যা বিশ^ পরিসরে মানুষের জীবনযাপন বিশেষ করে খাদ্য পরিস্থিতির উপর নিরন্তর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এসব বিষয় সমৃদ্ধি ও শান্তিপ্রত্যাশী মানবসভ্যতার মর্মমূলে আঘাত হেনেছে। এই আঘাত প্রতিহত করাই এখন মানবসভ্যতার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে মোকাবিলার সাথে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের বিষয়টিও ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অন্যতম প্রধান খাদ্যপণ্য গমজাত খাদ্যের বাজার ও পরিশোধিত তেলের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। বহুদেশে এ দু’টি প্রধান খাদ্যের মূল্য বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। সেই সাথে জ¦ালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে নানা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাস ও জ¦ালানি তেলনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা, রাসায়নিক সারসহ অন্যান্য পণ্যের উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ জন্য ভোক্তাদের ভোগ করতে হচ্ছে অসহনীয় যন্ত্রণা। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ডলার ও ইউরোর বিনিময় মূলবৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার উপর এর কুপ্রভাব পড়েছে ফলে গোটা মানবসভ্যতা এক ধরনের অস্বস্থি ও সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে।
কোভিড অতিমারি মানবদেহের রোগ প্রতিরাধ ক্ষমতা বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে সামনে এনেছে এবং এই ক্ষমতা অর্জনে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যে বিশ^মানবের অধিগম্যতাকে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সেই সাথে পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীবনাচারের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য করণীয় হলো-
এক : যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং বিশ^শান্তির পক্ষে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলা। যুদ্ধবন্ধে বিশ^ জনমত সৃষ্টি, যুদ্ধের অবসানের সকল রাষ্ট্রশক্তির ঐকমত্য সৃষ্টির উপায় অন্বেষণ ও তা ফলদায়ক করা। অতি সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
দুই : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবক কারণসমূহ দূরীকরণ বৈশি^ক উদ্যোগ জোরদার করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের সাথে খাপখাওয়ানোর উপযোগী উপায় অন্বেষণে গবেষণা ও গবেষণা জাত ফলাফল প্রয়োগের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে সম্ভব সকল কিছু করা। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি এবং সে কারণে এ বিষয়টি প্রত্যক্ষভাবে খাদ্য পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করছে।
তিন : জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় যত্নবান হওয়া। কেননা জীব-বৈচিত্র্যের সাথে মানবসমাজের খাদ্য নিরাপত্তা সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। মানুষের খাদ্য আসে প্রাণি ও উদ্ভিদ থেকে। আর এই প্রাণি ও উদ্ভিদ তথা জীবজগতই হলো জীববৈচিত্র্যের প্রাণ। এ কারণে জীববৈচিত্র্যের সামান্য ক্ষতিও মানুষের জন্য খাদ্য ঝুঁকি।
চার : কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়নে নিরন্তর উদ্ভাবন- কৃষিই খাদ্যের আধার। তাই কৃষি ব্যবস্থার নিরন্তর উন্নয়ন আবশ্যক। আর এ উন্নয়ন সাধনে উত্তরোত্তর উচ্চতর গবেষণা ও নবনব উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই। বৈশি^ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্যের জোগান বৃদ্ধির জন্য কৃষির উন্নয়ন একটি চিরন্তন প্রতিকার। উদ্ভিদ ও প্রাণির উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন, চাষ পদ্ধতির উন্নয়ন, যন্ত্রের ব্যবহার, রোগবালাই ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির আধুনিকায়নে নিরন্তর উদ্ভাবন অত্যন্ত জরুরি।
পাঁচ : নারী ও পুরুষের সমতা বিধান। এ বিষয়টি সভ্যতার বিকাশকেন্দিক সার্বিক বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ নারী মিলেই মানবসমাজ, পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অগ্রায়ন অপরিহার্য। নারীরা জনগোষ্ঠীর অর্ধেক তাই তাদের মেধা, কর্মশক্তির সদব্যবহার বৃহৎ অর্থে মানব সভ্যতার অগ্রায়নেরই নামান্তর। বিশেষ করে মানুষের খাদ্য  সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নারীরা খাদ্য রন্ধন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবেশনের সাথে অধিকতর সম্পৃক্ত। এ কারণে নারীর পুষ্টিজ্ঞান ও নিরাপদ খাদ্যের জ্ঞান তার নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য পরিবেশন দক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে। সেই সাথে নারীর উপার্জন ক্ষমতা পরিবারের খাদ্যে অধিগম্যতা অর্জনের সক্ষমতা সৃষ্টিতেও সহায়ক হতে পারে।
ছয় : বর্তমান বিশ^ পরিস্থিতিতে বহুদেশের মানুষের জন্য খাদ্য সঙ্কট নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারিত করতে হবে। দেয়া-নেয়ার সংস্কৃতি আরো সমৃদ্ধ করতে হবে। সেই সাথে দেশজ ও আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থা কেবল ব্যবসাবান্ধব না রেখে মানববান্ধব করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনে সংশ্লিষ্ট সকলকে সক্রিয় ও ঐক্যবধদ্ধ করতে হবে।
সাত : এখনো আমরা অনেকেই খাদ্য বলতে ক্ষুধা নিবৃত্তি বা উদরপূর্তি বুঝি। পুষ্টির বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় থাকে না। সমাজের এক অংশ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খায় এবং অনেক খাদ্য অপচয় করে। আরেক অংশ পর্যাপ্ত খাদ্য বা পুষ্টিকর খাদ্য পায় না। এই অবস্থার অবসানে আপন আপন সামর্থ্যরে মধ্যে পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার বিষয়ে সচেতন ও দক্ষ করে তোলার জন্য পুষ্টি সচেতনতা সৃষ্টির বিপুল উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আট : খাদ্য নিরাপদ নিশ্চিত করার জন্য উৎপাদনকালীন, বাজারজাতকালীন, প্রক্রিয়াজাতকালীন, রন্ধনকালীন ও পরিবেশনকালীন সময়ে খাদ্য নিরাপদ ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন রাখতে  করণীয় বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। রাষ্ট্রীয় ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় রীতিনীতি ও আইনের সংস্কার, উত্তম উপাদান ব্যবস্থা, উত্তম প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
নয় : জনগণের আয়বৃদ্ধি তথা প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য ক্রয়ের সামর্থ্য সৃষ্টি খাদ্য নিরাপত্তার বলয়সৃষ্টির একটি অপরিহার্য শর্ত। দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, সেবা কার্যক্রমের পরিধি সম্প্রসারণ ইত্যাদির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ও তথা জনগণের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে যেন তারা প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য কিনে খেতে পারে।
দশ : খাদ্যের চাহিদা অনুযায়ী দেশজ উপাদান এবং আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার মাধ্যমে পর্যাপ্ত খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে থাকতে হবে। এ বিষয়টি নিরন্তর মনিটরিং করে খাদ্যের জোগান ব্যবস্থার পর্যাপ্ততা অটুট রাখতে হবে।
এগারো :    দুস্থ গরিব অহসায় মানুষের জন্য প্রাত্যাহিক খাদ্য সরবরাহের নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ বিষয়টি অতীব জরুরি।
পৃথিবীজুড়ে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টির এজেন্ডাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হয়েছে এবং সেই ভাবনার আলোকে প্রণীত হয়েছে হাজারো উদ্যোগ। সর্বশেষ বৈশি^ক উদ্যোগ হিসেবে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন অভিলক্ষ্য (এসডিজি-২০১৬-২০৩০) বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসডিজির ১৭টি অভিলক্ষ্যের মধ্যে এসডিজি-২ নম্বরে স্থান পেয়েছে ‘ক্ষুধার অবসান’। এ বিষয়টিই মূলত ভূম-লী পরিসরে খাদ্য নিরাপত্তার বলয় রচনাই সমার্থক।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধেরও অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি। স্বাধীনতা অর্জনের পর অর্ধশতাব্দী অতিক্রান্ত হলেও আমাদের এই লক্ষ্য আজও পূর্ণাঙ্গভাবে অর্জিত হয়নি। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন অনেক। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত কমে যাওয়া জমি থেকে আমরা দানা জাতীয় খাদ্য উৎপাদন প্রায় চারগুণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষি উন্নয়নের যে কর্মধারার সূচনা করেছিলেন, সেই বুনিয়াদের উপর দাঁড়িয়ে তাঁরই আত্মজা ও সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য পরিস্থিতি অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। দানা জাতীয় খাদ্য, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, কলা, সবজি সকল ক্ষেত্রেই ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। প্রতি বছর বিশ^ খাদ্য দিবসের ভাবনায় ও তা প্রয়োগে আমরা এই অর্জন আরো বেগবান ও সংহত করার নব নব আয়োজন সম্পন্ন করে থাকি।’ যা এই দিবস পালনকে অর্থবহ করে তুলেছে।

লেখক : সদস্য, এপিএ পুল, কৃষি মন্ত্রণালয় ও সাবেক মহাপরিচালক, ডিএই। মোবাইল : ০১৭১১৮০৩৬৯৫ ই-মেইল :hamidur2152@gmail.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon